মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের রুই-ফলোশিয়া গ্রামের এক অসহায় নারীর ভিডিও টিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভাইরাল হয়েছে। তার নাম লক্ষী রানী বিশ্বাস। ছোট বেলা থেকে দুঃখে কষ্টে মানুষ হয়েছেন তিনি।
কপালে দুঃখ ছাড়া সুখের দেখা মেলেনি কখনো। জন্ম থেকে টুইটি পা পঙ্গু তার, বিয়ে হয়েছিলো কিন্তু পঙ্গুত্বের কারনের সংসার করার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি লক্ষী রানীর কপালে।
বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে লক্ষী রানীর স্বামী অমল সরকার ফেলে রেখে চলে যায় তাকে। ফেলে যাবার পর থেকে আর কোন দিন খোজ খবর নিতে আসেনাই লক্ষীর। দুমুঠো ভাতের জন্য অনাহারে দিন কাটে তার এখন। ঘরে কনে পড়ে আসে একটি মরীচীকা পড়া তৈল বিহীন লেম্প। রাতে ঘুমানোর জন্য ঘর থেকেই চাঁদের আলো দেখা যায় নিভু নিভু করে। আর ঘুমানোর জন্য জরাজীর্ন ঘরে রয়েছে একটি ছেঁড়া খেজুর পাতার পাটি।
ভিডিও দেখতে ক্লিক : এখনো ফুটেজ রেডি হয়নী
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট ঘরে বারান্দায় একটি চুলা জরাজীর্ণ ভাবে পড়ে আছে। একটি ফুটো পানির পাত্রে খাওয়া দাওয়া চলে তার। সঙ্গী হিসেবে একটি মাত্র বিড়াল আছে সেটিও দড়ী দিয়ে বাঁধা রয়েছে। অন্যের বাড়ীতে গিয়ে যেন কিছু চুরি করে না খায় সে জন্যই হয়তোবা তাকে বেধে রাখা হয়েছে। দিনে একটি বার খেয়ে কোন রকম বেচে আছে লক্ষী রানী। ২৫ বছর আগে ফেলে রেখে গেছে লক্ষীরানীর স্বামী তার পর থেকে কোন মত দেখা শোনা করে আসছে লক্ষন বিশ্বাস নামের পাশের বাড়ির একব্যাক্তি।

লক্ষী রানী স্বপ্ন দেখে তার পোষা বিড়ালকে নিয়ে
লক্ষী রানীর বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, এই বিষয়টি আমার অবগত ছিলো না সেতু নামের এক সাংবাদিক আমাকে বল্লে। তবে বিষয়টি শুনার পর আমি ওই ওয়ার্ডের মেম্বর এর সাথে কথা বলেছি। আমরা মাঝে মধ্যে যে ত্রাণ পায় তা এখন থেকে তাকে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রামানন্দ পাল মুঠোফোনে দৈনিক মাগুরাকে জানান, লক্ষী রানীর বিষয়ে আমরা একটি তথ্য পেয়েছি। আমরা একটা পদক্ষেপ গ্রনহ করেছি। দ্রুত ওনার একটা বাসস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে দিবো।