মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর নাওভাঙ্গা গ্রামে ছাত্রদল ও বিএনপির আভ্যন্তরিন দ্বন্ধের কারনে ইউনিয়ন ছাত্র দলের সহ সভাপতি আবু তৈয়ব আহত হয়ে চিকিৎসাধিন অবস্থায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, মাগুরায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদল নেতা আবু তৈয়বকে কুপিয়ে মারাতœক জখম করে। তিনি এখন ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এরই প্রতিবাদে বুধবার (২৩শে আগষ্ট) মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় তারা রুহুল কবির রিজভীর মিথ্যা প্রেস বিজ্ঞিপ্তির তীব্র প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্যের আলোকে এবং নিহতের চাচা নুরুল ইসলামের দেয়া তথ্য মতে বলা হয়, এ ঘটনা ছাত্রদল তথা এলাকার বিএনপির আভ্যন্তরিন ঘটনার জেরে তিনি খুন হয়েছেন। বিএনপি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে সারা দেশে প্রচার করছে। আওয়ামীলীগের দলীয় সুনাম নষ্ট করার জন্য এই মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলার কর্মরত সাংবাদিক সহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ফ ম ফাত্তা ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু এবং এ্যাড. সাইফুজ্জাম শিখর এমপি ও এ্যাড শ্রী বিরেন শিকদার এমপি সহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কৃষক দলের নেতা জিবলুর রহমান ফেসবুকে নিহত আবু তৈয়বকে আওয়ামী দাবী করে একটি স্টাটাস দেয়া কে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে নিহত তৈয়ব কয়েক জন সঙ্গিকে নিয়ে জিবলুর মুখোমুখি হয় এবং জানতে চান কেন তাকে নিয়ে ফেসবুকে মিথ্যা স্টাটাস দিয়েছেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে তৈয়ব গুরুত্বর আহত হয়। ঘটনার পরপরই তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ দিন রাতেই তাকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩শে আগষ্ট সকাল দশটার দিকে সে মারা যায়। ঘটনার পরপরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল এলাকায় কয়েক দফা তৈয়বের মৃত্যর গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয় এবং বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক ভাবেই তারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু কতিপয় ব্যাক্তি নিজেদের স্বার্থের জন্য মিথ্যা সাজিয়ে তাকে আওয়ামীলীগ কর্মীদের দ্বারা হামলার স্বীকার হয়েছে বলে উল্লেখ্য করেন তিনি। এর আগে আবু তৈয়বকে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি করা হয় ১২ই ফ্রেবুয়ারী ২০২২ সালে। মূলত এই পদকে কেন্দ্র করে পিএনপির লোকেদের সাথে তার ঝামেলা।