চলে গেলেন অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান। ২২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ২১ জুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালে তাকে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার কাজলী পশ্চিমপাড়া গোরস্থানে মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রিয় সম্মান জানিয়ে তাকে সমাহিত করা হবে।
স্ত্রী আকলিমাকে সাথে নিয়ে ভিক্ষা করে দুজনের সংসার চালাতেন। শেষ জীবনে বোনের বাড়িতে আশ্রায় নিয়েছিলেন। শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর আগে যদি তালিকা ভুক্ত হয়ে ভাতা সুবিধা পেলে স্ত্রীর শেষ জীবনে ভাল কাটাতো।
জেলা সহকারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়ালীদুর জামান বলেন, তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা ও আইডি কার্ডের নাম বিভ্রাটের কারনে চুড়ান্ত গেজেট ও ভাতা সুভিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারী বেসরকারি টেলিভিশন ‘৭১ টিভিতে বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশের পর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলে নড়ে-চড়ে বসেন। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে নাম গেজেটভুক্ত করার জন্য পাঠানো হলেও তিনি খুশির সংবাদটি না পেয়েই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
শ্রীপুরের আকবর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখ সমরে লড়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। বড় ভাই আব্দুল কাদের ঐতিহাসিক কামান্ন যুদ্ধে ২৭ শহীদের সাথে শত্রু পক্ষের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। বিশ বছর আগে এক মাত্র ছেলে হান্নানের চিকিৎসর খরচ মেটাতে নিজের ভিটা বিক্রি করেও শেষ কক্ষা হয়নি। তার পর থেকেই অন্যের আশ্রয়ে বেঁচে ছিলেন।