অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি স্বামী-স্ত্রী মুদি দোকানদার দৃশ্য বিশ্বাস (৪৮) দীর্ঘদিন ধরে কোমর ব্যথা সহ নানা রোগে ভুগছেন। গত পাঁচদিন আগে তার দোকানে আসে এক ব্যক্তি। যে নিজেকে পরিচয় দেয় কবিরাজ হিসেবে। দৃশ্য বিশ্বাসকে আগরবাতি, ধুপকাঠি, কলা ,আতপ চালসহ কিছু জিনিস কিনতে হবে। দিতে হবে আসন। যেগুলো কিনতে খরচ পড়বে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তার কথায় রাজি হয়ে রাতে আসন দিয়ে বিপদে পড়েছেন দৃশ্য বিশ্বাস ও তার স্ত্রী। রাতে তাদের খাবারে চেতনা নাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করে কথিত ঐ কবিরাজ ও তার সহকারী বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে প্রায় এক ভরি সোনা সহ আশি হাজার টাকা। দৃশ্য বিশ্বাস ও তার স্ত্রী আলাপি বিশ্বাসকে (২২)
অচেতন হয়ে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে। সোমবার এশার নামাজ পর মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নের আড়াইশাত গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় দৃশ্য বিশ্বাস ও আলাপি বিশ্বাসকে আজ মঙ্গলবার সকালে ভর্তি করা হয় মাগুরা সদর হাসপাতালে।
হাসপাতালে ভর্তি দৃশ্য বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাজার ব্যথা ও জমি সংক্রান্ত নানা সমস্যায় জর্জরিত সে। কয়েকদিন আগে পরিচয় হওয়া ওই ব্যক্তি তাকে জানান ব্যথা হতে মুক্তি ও সকল প্রকার সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে ওই ব্যক্তি। বিনিময়ে বাড়িতে দিতে হবে আসন, কিনতে হবে আগরবাতি, ধুপকাঠি, কলা ,আতপ চালসহ কিছু জিনিস। যার খরচ পড়বে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। কবিরাজের কথায় রাজি হয়ে সোমবার রাতে জিনিসগুলো জোগাড় করে আসনে বসে তারা। কবিরাজ ও তার সহযোগী কলা ও আতপ চাল দিয়ে ভোগ তৈরি করে। যেটা সে, তার স্ত্রী, তার বাবা ও ১২ বছরের ছেলে খেয়ে অচেতন হয়ে যায়।
কবিরাজ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার বাড়ি থেকে প্রায় এক ভরি স্বর্ণ ও আশি হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি আলাপি বিশ্বাস জানান, কবিরাজের কথায় বিশ্বাস করে সে তার স্বামী, তার শশুর দিনবন্দু বিশ্বাস ৭৫ ও ছেলে আবির বিশ্বাস ১২ ভোগ খেয়ে অচেতন হয়ে যায়। সকালে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে ডেকে তুললেও স্বামী তখনও অচেতন ছিল। এ সময় সে খেয়াল করেন তার কানে থাকা সোনার দুল, মেয়ের সোনার চেইন , বাড়িতে থাকা নুপুর, সোনার আংটি ও দোকানে থাকা প্রায় আশি হাজার টাকা খোয়া গিয়াছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।