মাগুরার মহম্মপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় ৭ বিঘা জমির ফলন্ত নালিম গাছ কেটে ফেলেছে দুবৃত্তরা। রবিবার দুপুরে জমিতে গিয়ে এটি দেখতে পান সেখানকার ক্ষেতে কাজ করা দেলোয়ার, মোহন ও জসিম উদ্দিন। পরে এ ঘটনার বিষয়ে ক্ষেতের মালিককে জানানো হলে জমিতে গিয়ে ক্ষেতের সব নালিম গাছ কাটা দেখতে পেয়ে তিনি সংঙ্গাহীন হয়ে পড়েন।
এ ঘটনার বিষয়ে ক্ষেতের মালিক খোকন কাজী বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে আমি এই জমিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ ও নালিম চাষ করে আসছি। রমজান মাসকে সামনে রেখে জমিতে পেঁপে গাছের পাশা পাশি প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যায় করে নালিমের বীজ লাগিয়ে ছিলাম। বীজ থেকে গাছের ফলন শুরু হওয়া মাত্রই দুবৃত্তরা আমার গাছ কেছে ফেলেছে। এতে আমি প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতির সমূখিন হয়েছি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার মাস দেড়েক আগে আমার জমির ৪৫টি ধরন্ত কলা গাছ কেটে ফেলে দুবৃত্তরা। আজ আবার আমার এত বড় ক্ষতি করে দিলো। এর সাথে যারা জড়িত তাদের সঠিক বিচার চাই আমি।
নালিম গাছ কাটার বিষয়ে খোকন কাজীর ছেলে কাজী মাসুদ রানা জানান, শনিবারে আমাদের লিজ নেওয়া জমিতে আনছার মোল্যার বেস কয় একটি ছাগল নালিম গাছ খেয়ে ফেলে। এরই প্রতিবাদ করতে গেলে আনছার হোসেনের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনছারের ছেলে মিজানুর ও হাবিবুর এসে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোক জন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে আমি আমার নিজ গ্রামে চলে আসি। আজ আমি আমার বাবার কাছ থেকে দুপুরে জানতে পারি আমাদের ৭ বিঘা জমির নালিম গাছ কেটে ফেলেছে। আমি ধারনা করছি আনছার মোল্যা ও তার লোক জন আমাদের ফলন্ত নালিম গাছ গুলো কেটে ফেলেছে।
গাছ কাটার ঘটনায় আনছার মোল্যা সহ তার লোক জনের বিরুদ্ধে আমি থানায় বাদি হয়ে মামলা করবো।
তবে গাছ কাটার বিষয়ে অভিযুক্ত আনছার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমি একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কাল তদন্ত করবো। ঘটনার সত্যতা পেলে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবো।