মাগুরা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে নবগঙ্গা নদীর তীরঘেঁসে ঘোবডাঙ্গা গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামের ফুলমিয়া মোল্যা পাকিস্তানী ও সাহিয়াল জাতের দুটি এড়ে গরু লালন পালন করেন। সখ করে তিনি গরু দুটির নাম রেখেছেন লালু আর কালু।
৪০ মাস বয়সী এ গরু দুটির ওজন প্রায় ২৩শো কেজি । যেখানে কালুর উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৬ ফুট ও লম্বায় ১২ ফুট এবং লালুর উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট ও লম্বায় ১১ ফুট।
লালু ও কালুর ভিডিও দেখতে ক্লিক : ২৫ লক্ষ টাকার লালু এবং কালু
শান্ত প্রকৃতির লালু ও কালুর পছন্দ ছোলা, ভুট্টা, গম, ভূসি ও কাঁচা ঘাঁস।
খামারী মালিক ফুলমিয়া জানান, লালু ও কালুর লালন পালন বাবদ প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন তিনি ইতোমধ্যে। এত টাকা খরচ হওয়ার পরেও তিনি গরু দুটির সঠিক দাম পাবেন নাকি তা নিয়ে তার সংশয়। কারন করনো মহামারির কারনে অনেক জেলা লকডাউনে থাকায় গরু নিয়ে হাটে যেতে পারছেনা। তাছাড়াও এই মহামারির কারনে হাট গুলোতে সাধারণ ক্রেতা কম থাকায় গরু বেচা নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন লালু ও কালুর অভিবাবক।
১৪ লক্ষ টাকার কালু। ছবি : দৈনিক মাগুরা
খামার মালিকের সহ ধর্মীনি রেবেকা খাতুন বলেন, আমার স্বামীর পাশাপাশি আমি গরু দুটির পরিচর্যা করি। অনেক সময় আমার স্বামী না থাকলে ঘাঁস কেটে খাওয়ায়। এতো কষ্ট করে পোষার পরও করোনার কারনে আমরা গরু হাটে নিতে পারছিনা। আমরা চায় লালু ও কালুর যেন সঠিক দাম পায়।
১১ লক্ষ টাকার লালু। ছবি : দৈনিক মাগুরা
তবে আশার আলো হলো কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গরুটি দুটি বিক্রির সিন্ধান্ত গ্রহন করায় বাড়িতে ইতোমধ্যে পাইকেড়রা আসতে শুরু করেছে। তাছাড়াও লালু ও কালুর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় উচ্ছুখ দর্শনার্থী প্রতিদিনই বাড়িতে ভীড় করছে।
পাইকেড়রা ব্যবসায়ীরা গুরু দুটির দাম ১৫ লক্ষটাকা বল্লেও ফুলমিয়া চান সখের এ লালু ও কালুকে ২৫ লক্ষটাকায় বিক্রি করতে চান।