করোনা সংক্রমন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এ জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাগুরার বিভিন্ন কোরবানীর হাটে কাজ ব্রাকের স্বেচ্ছাসেবক ৪৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী । করোনা প্রতিরোধে তারা কোরবানী হাট গুলোতে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে মাস্ক,লিফলেট ও হ্যান্ড মাইকিং এর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছে ।
গতকাল শরিবার বিকালে সদরের রামনগর হাটে গিয়ে দেখা যায় ,ব্র্যাকের কিছু স্বাস্থ্যকমী করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হ্যান্ড মাইকিং সচেতনতামুলক প্রচারাভিযান চালাচ্ছে । এ সময় তারা হাটে যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদেরকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে । পাশাপশি করোনা সচেতনতায় প্রচার লিফলেট বিতরণ করছে ।
জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম জানান, দিন দিন জেলায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে । করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে ব্র্যাক জেলায় দীর্ঘদিন তাদের স্বাস্থ্যসেবিকাদের মাধ্যমে সচেতনতামুলক কাজ অব্যাহত রেখেছে । ইতিমধ্যে জেলার ১৬টি কোরবানি হাটে ব্র্যাকের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের মধ্যে ৩৩ হাজার ৯৫০টি মাস্ক বিতরণ,লিফলেট বিতরণসহ হ্যান্ড মাইকিং অব্যাহত রেখেছে । তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হচ্ছে ।
তিনি আরো জানান,করোনা প্রতিরোধে শুধু হাটে নয় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে হাসপাতাল,মসজিদ,কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রয়েছে । পাশাপাশি ব্র্যাকের মাইক্রোফাইনান্স কর্মসূচীর সদর উপজেলার ২৭৭ সদস্যদের সঞ্চয় ফেরত বাবদ বিকাশের মাধ্যমে ১১ লক্ষ ২৭ হাজার দেয়া হয়েছে । এ সকল কার্যক্রম মনিটরিং করতে জেলা ব্র্যাকের পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচীর এলাকা ব্যবস্থাপক রঞ্জন ব্যানাজী ও এলাকা ব্যবস্থাপক মাইক্রোফাইনান্স গৌরাঙ্গ পাল সার্বিক ভাবে কাজ করছেন । তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে “ডাকছে আমায় দেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩৮ জন অসহায় মানুষকে ১৫শ’ টাকা প্রদান করা হয়েছে । জেলায় ব্র্যাকের ৪৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সচেতনতায় সার্বিক ভাবে কাজ করছে ।
রামনগর হাট কতৃপক্ষ নুর আলম দিপু জানান, আমাদের হাটে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়তে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে । পাশাপশি সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রয়েছে । আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ মানুষকে হাটে আসার আহবান জানাছি । হাটে গরু ছাগলের চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু ক্রেতা কম । রামনগর গরু ছাগলের হাটটি একটি স্থায়ী হাট । কঠোর লকডাউনের কারণে আমরা হাট বসাতে পারিনি ফলে আমরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি ।