মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় এ প্রতিযোগিতার উদ্ভোধন করেন উপজেলা প্রশাসন।
প্রতিযোগিতায় জেলা সদরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। খেলা চলাকালীন সময়ে মাগুরা সদরের আলোকদিয়া পুখরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আশিকের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বুজরুক শ্রীকুন্ডী দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেীণীর ছাত্র রুমান। এক পর্যায়ে যে যার অবস্থানে খেলার জন্য চলে যান বলেন জানান সেখান কার শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননী পুখরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আশিক। কিছু সময় পরে আশিক তার বন্ধু মাগুরা সদরের পাল্লা গ্রামের হাসিবকে খবর দিয়ে স্টেডিয়াম মাঠে নিয়ে আসে। তখন হাসিবের সাথে থাকা অন্য সহযোগিরা রুমানের সাথে এসে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রুমানের। এ সময় আশিক ও তার বন্ধু হাসিব সহ তার সহযোগিরা বুজরুক শ্রীকুন্ডী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের হামলায় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক সহ ৬ জন ছাত্র আহত হন। পরে আহতদেরকে মাগুরা সদর থানা পুলিশ তাদের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তারা হলেন, রুমান হুসাইন,সিয়াম,ইব্রাহিম, তহিউদ্দিন, রহিম। এ ঘটনায় হাসিব নামের আরো এক জন আহত হয়েছেন।
মাগুরা সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের ডাক্তার জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এর মধ্যে থেকে বেস কয়েক জনের অবস্থা বেশি খারাপ।
গুরতর আহত রুমান জানান, আশিকের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে আমি খেলতে চলে যায়। পরে আশিক ফোন করে ওর বন্ধু ও ছাত্রলীগৈর পোলাপান ডেকে এনে আমাদের মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে মারধোর ও লাঠিপেটা করে। সে সময় আমাদের মাদ্রাসার এক শিক্ষকও আহত হন।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে আশিকের সাথে একাধিক সূত্রে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নী।
এই বিষয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম জানান, আমাদের ছাত্রলীগের এই বিষয়টি কেউ জানতো না। আশি শুনেছি মাগুরা স্টেডিয়ামে হাসিব নামের একটা ছেলে ওখানে ফুটবল পেকটিস করছিলো তখন ও দেখতে পারে ওর বন্ধুদের (আশিক) কে কে বা কাহারা মারধোর করতেছিলো। এই শুনে আমি মনে করলাম যাই হোক স্কুল কেন্দ্রীক ঝালেমা হাসিব যদি পরিচিত ছেলে হয় আমাদের আর যেন কোন প্রকার মারামারি না হয় তাই আমি ওটা টেকাতে আমি লোক পাঠিয়ে ছিলাম। পরেত পুলিশ যেয়ে ঘটনাটি মিটিয়ে দিয়েছে। এখানো আমাদের ছাত্রলীগের কেউ জড়িত ছিলোনা।
ঘটনার বিষয়ে বুজরুক শ্রীকুন্ডী দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়ার শিক্ষক হারুনার রশিদ জানান, আমি ছাত্রদের কে নিয়ে খেলা পরিচালনা করছিলাম। কিন্তু খেলার এক পর্যায়ে এসে আমাদের উপর তারা হামলা চালায়। আমি টেকাতে গেলে আমাকে সহ তারা আমার ছাত্রদেরকে পিটিয়ে যখম করে। পরে আমার পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে আমাদেরকে হাসপালে নিয়ে যায়।
তবে এই ঘটনার বিষয়ে আলোকদিয়া পুখরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, দুপুর বেলা ১ টার দিকে আমার ছেলে মেয়েদের জন্য শহরের মধ্যে খাবার নিতে আসছিলাম। পরে স্টেডিয়ামে এসে শুনি একটা গেনজাম হয়েছে। বাইরে থেকে কারা যেন এসে এই মারামারিটা করছে। তবে আমি যখন মাঠে আসছি তখন মারামারি দেখিনাই। মাঠে তখন পুলিশ ছিলো।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই আমি স্টেডিয়ামে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে আমরা চিকিৎসা প্রদান করেছি। এ বিষয়ে পরে যদি কেহ অভিযোগ করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।