আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলা, তারপর আরেক দফা আম্পায়ারদের সামনে স্ট্যাম্প আছাড় মারা এবং শেরে বাংলার গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনে সাকিব ও আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের একে অপরের দিকে তেড়ে যাওয়া- নানা ঘটনা, উত্তেজনা শেষ।
আলোচিত হাইভোলটেস্ট ম্যাচে জয় মোহামেডানের। ১১ জুন শুক্রবার, শেরে বাংলায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন বিতর্ক জড়িয়ে পড়া সাকিবই। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মুশফিকুর রহীমের আবাহনীকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি ৩১ রানে হারিয়েছে তার দল।
বৃষ্টির কারণে ৮৩ মিনিট থাকার পর আবার বিকেল ৫টার দিকে যখন খেলা শুরু হলো, তখন সময় বয়ে গেছে অনেক সময়। সময় কমে যাওয়ায় আবাহনীর সামনে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ ওভারে ৭৬ রানের।
যেহেতু ৫.৫ ওভার খেলা আগেই হয়ে গেছে। তাই আবাহনীকে করতে হতো ১৯ বলে ৪৫। বেশ কঠিন লক্ষ্য। আকাশি-হলুদরা সেই লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি। পরের ১৯ বলে মাত্র ১৩ রান যোগ করতে সক্ষম হয় আবাহনী।
বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয়, হাতে ৭ উইকেট ছিল তাদের। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম আর বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্ত শুরু করেন আবার।
পেসার তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন শান্তকে। জাতীয় দলের এই গতিতারকার বলে বোল্ড হন ২০ বলে ১৫ করা শান্ত। পরের ওভারেই আবু জায়েদ রাহীর বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে আবু হায়দার রনির বলে ক্যাচ হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৩ বলে ৩)।
শেষ ওভারে আবাহনীর দরকার ছিলো ৩৮ রান। অর্থাৎ ম্যাচ তখন কার্যত শেষ। তাসকিন ওই ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড করেন। তারপরও সবমিলিয়ে মাত্র ৪ রান তুলতে পারে আবাহনী। অধিনায়ক মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৮ করে। আবাহনী থামে ৬ উইকেটে ৪৪ রানে।