নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবীতে শোষণ মুক্তির মানবিক চেতনায় নারী সমাজকে জেগে উঠার প্রত্যয়ে ৫ম জেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত।
২৮ অক্টোবর (২০২১ বৃহস্পতিবার ) সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ৫ম জেলা কাউন্সিল উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগ্রামী আহবায়ক কমরেড শফিউর রহমান শফি। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বাসদ ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক এ্যাড. আসাদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফেরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবী নারী নেত্রী প্রকৌশলী শম্পা বসু, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম খুলনা জেলার সভাপতি কোহিনুর আক্তার কনা, বাসদ জেলা সংগঠক আছাদুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা সভাপতি ছাত্র নেতা শারমিন সুলতানা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা সংগঠক রুবিনা খাতুন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছাত্র নেতা ফারজানা ইয়াসমিন রীমা। প্রধান আলোচক বলেন, ঘরে বাইরে সর্বত্র নারী শিশু নির্যাতন নারীর প্রতি সহিংসতা স্বৈরাচার সাম্প্রদায়িতা অশ্লিলতা অপসংস্কৃতি রাষ্ট্র কর্তৃক নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখে নারী পুরুষের মিলিত আদর্শিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় উন্নত রুচিবোধ ও সংস্কৃতি চেতনার আলোকে মানবিক মর্যাদার সমাজ সভ্যতা নির্মানে আন্দোলন গড়ে তুলেতে হবে। এ্যাড. আসাদুল ইসলাম তার আলোচনায় বলেন, সমাজের অগ্রগতি ও প্রগতির স্বার্থে সুস্থ নিরাপদ জীবনযাপন ও পরবর্তী প্রজন্মের মনুষ্যত্ব নিয়ে বেড়ে উঠার প্রয়োজনে নারী-পুরুষের মধ্যকার অসাম্য বৈষম্য বিলোপ এখন সময়ের দাবী।
প্রকৌশলী শম্পা বসু বলেন, বাংলাদেশের শোষিত বঞ্চিত নির্যাতিত নিপীড়িত নারী সমাজের অধিকার আদায়ের একসাত্র আদর্শবাদী বিপ্লবী সংগঠন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। সাম্য সমাজ নির্মানের পরিপূরক নারী মুক্তি আন্দোলন গড়ে তুলতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জন্ম লগ্ন থেকে ধারাবাহিক সংগ্রাম অব্যবহত রেখেছে। সবাইকে সেই সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। কাউন্সিল অধিবেশনে রুবিনা খাতুন কে আহবায়ক এবং প্রীতিলতা বিশ্বাস কে সদস্য সচিব করে ১৪ সদস্যের জেলা কমিটি গঠন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে রুবিনা খাতুন আগামী দিনে সকল নিপীড়নের বিরুদ্ধে মহিলা ফোরামের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে আলোচনার সভার সমাপ্তী ঘোষণা করেন। আলোচনা সভা শুরুর আগে নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎদের ছবি, ব্যানার ফেস্টুন সহ একটি সুসজ্জিত র্যালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।