মাগুরায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এনে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীর মা।
মাগুরা সদরের পুলিশ লাইনস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষককের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে তাকে আটক করেছে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) অলোক কুমার মৌলিক নামের ওই ইংরেজি শিক্ষককে আটকের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, মাগুরা পুলিশ লাইনস এলাকার একটি বাসায় গত মাসের ৭ তারিখে প্রাইভেট পড়তে গেলে সহপাঠিদের ছুটি দিয়ে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীর উপর যৌন নিপীড়ন চালান ।
এ বিষয়ে নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত এক মাসে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তারা পরিবারের সদস্যরা। তারা আরো জানান, এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীর সাথে সে অনৈতকি কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন বলে তারা দাবি করেন।
ওই শিক্ষকের বিষয়ে কয়একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক হিসেবে তার চরিত্র খুব খারাপ। সে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের সাথে এমন করে আসছে।
তবে এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.ইমাম হোসেন ফরহাদ মুঠোফোনে দৈনিক মাগুরাকে জানান, এই ঘটনাটি রমজানে স্কুল বন্ধের সময়ের ঘটেছে। এটা স্কুলের বাহিরেরই ঘটনা। শুনেছি এই বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে এবং শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। তবে এই ঘটনার বিষেয়ে নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে আমার কোন প্রকার যোগাযোগ হয়নী।
নিপীড়নের শিকার মেয়েটির মা বলেন, বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তিনি আরো বিভিন্ন মহলকে দিয়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এই বিষয়টি মেয়ের সহপাঠিরা জানতে পেরে তাদের ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আইনের আশ্রয় নিতে পরে আমাদেরকে পরামর্শ দেন।
পরে ভুক্তভোগি মায়ের মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে শুক্রবার রাতে মাগুরা শহর থেকে পুলিশ আটক করে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে জানা যাচ্ছে আর্থিক ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত করা চেষ্টা করছেন ওই শিক্ষক।
মামলা ও ধর্ষণের বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আইয়ুব আলী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের পরে তাকে গ্রেফ্তার দেখানো হয়েছে। এখন ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।