নিরাপত্তার কারণে গভীর রাতে বসেছেন আদালত; রিমান্ড মঞ্জুর
নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের রবিবার দিনের বেলায় আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায়, রবিবার দিবাগত গভীর রাতে রিমান্ড শুনানি করেছেন আদালত। শুনানি শেষে মামলায় মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুরকে ৭ দিন এবং স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে মাগুরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিন এর আদালতে এ আদেশ দেওয়া হয়।।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর শুরু হয় রিমান্ড শুনানি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সকল আসামিদের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তারা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানান হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি, ফলে আসামির জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তকে ৭ দিন এবং অন্য তিন আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার তদন্ত সংস্লিস্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও রবিবার দিনে আসামীদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া যায়নি। দিনভর আন্দোলনকারীরা আদলতের ফটক ঘিরে রেখেছিল। আসামীদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলছিল। এ কারণে রাতে শুনানি করেছেন আদালত’।
শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই তারা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে শনিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়। আর শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয় বোনের শ্বশুরকে।
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন রয়েছে।