1. dainikmagura@gmail.com : magura :
রংপুর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ঔষধ না থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম বেহত | দৈনিক মাগুরা
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

রংপুর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ঔষধ না থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম বেহত

হেলাল হোসেন
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৭৩৬ জন দেখেছেন
মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মূল ফটকের ছবি

রংপুর জেলা সদরের সিটি বাজার রোড এলাকায় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি অবস্থিত। শহরের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়াই প্রতিনিয়িত রোগির চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হয় চিকিৎসকদের।

তথ্য মতে, এই ধরনের হাসপাতাল গুলোতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা বেশি চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু সেবার মান নিয়ে আসে নানান অভিযোগ। অভিযোগ আছে টাকার বিনিময়ে গর্ভবতী মায়েদের কাছ থেকে কার্ড করে দেবার নামে অর্থ আদায়।

চিকিৎসা নিতে আসা রাশেদা খাতুন জানান, আমার ছেলে বেশ কিছু দিন যাবত ধরে অসুস্থ। অনেক সময় ধরে দাড়িয়ে আছি দেখি ডাক্তার কখন দেখে।

সাধারণ রোগীদের পাশা পাশী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে গর্ভবর্তী মায়েদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সেবা দিলেও অনেক সময় তাদেরকে প্রযোজনীয় ঔষধ দিতে অভিযোগ রয়েছে। যে পরিমান ঔষধ সরবারহ থাকার কথা পরিমানে কম থাকায় মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ফুরিয়ে যায় বলে জানান কর্মকর্তারা।

কৈশর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কক্ষ

এদিকে গর্ভবর্তী ও সাধারণ রোগীদের পাশা পাশী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে রয়েছে কৈশর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কক্ষ।
তথ্যমতে, গত নভেম্বরে কৈশর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কক্ষে মোট ৯৫ জন কিশোর-কিশোরী সেবা গ্রহন করেছেন। যার মধ্যে কিশোর ৫ জন ও কিশোরী ছিলেন ৯০ জন। গড় হিসাবে পরিসংখ্যান কম হলেও সেবা নিতে আসা কিশোরীরাই বেশি। কিন্তু সেবা নিতে আসা অনেক কিশোরীরাই পাইনা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা।

চিকিৎসা সেবা না পাবার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা খন্দকার ফারজানা জামান ( মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র সদর রংপুর) জানান, আগে অনেক কিশোরী আসতো এখানে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। আমরা আগে যেখানে প্রতিনিয়ত তাদেরকে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে পারতাম কিন্তু এখন আর দিতে পারছি না। গত ৩ থেকে ৪ মাস যাবত স্যানিটারি ন্যাপকিন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ কিশোরীই এটাই নিতে আসতো। এই জন্য তাদের সংখ্যাও এখন কমে গেছে।
তাছাড়াও তিনি আরো জনান, অনেক কিশোরীরা টি,টি, টিকা নিতে আসে আমাদের এখানে এসে পাই না যার কারনে সেবা নিতে আসা কিশোরীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথচ প্রতিটি কিশোরীদের টি,টি, টিকার ৫টি ডোজ সম্পূণ্য করতে হয়।
এছাড়াও তিনি আরো জানান, আমাদের এখানে গর্ভবতী মায়েরদের আয়রন ট্যাবলেট পর্যাপ্ত নাই। অনেকেই চাইলে আমরা দিতে পারছিনা। আয়রন ট্যাবলেটের সল্পতা থাকলেও একেবারেই নেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট।

ঔষধ সল্পতার বিষয়ে জানতে চাইলে ফামাসিস্ট বিভাগের কর্মকর্তা রোজনুজ্জামান ( মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র সদর রংপুর) বলেন, গত নভেম্বর মাসে আমাদের এখানে, জ্বর, সর্দি, কাঁশি, পাতলা পায়খানা ও শারীরিক দূর্বলতা নিয়ে রোগি আছে ২০৪ জন। আমরা মাসিক যে ঔষধ পায় তা পর্যাপ্ত নয়।
তিনি আরো জানান, গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রতি মাসে আয়রন ট্যাবলেট আসে ৮ হাজার, ফলিক এসিড পায় ৪ হাজার ও আয়রন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট যে পরিমান পায় তা মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ফুরিয়ে যায়। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।

স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ সল্পতার বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ মোছাঃ মুহতারিনা বেগম ( মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র সদর রংপুর) বলেন, প্রতিমাসেই ঔষধ আসে আমাদের এখানে। কোন ঔষধের সল্পতা দেখা দিলেই তা দুই একদিনের মধ্যে চলে আসে। সবদিক দিয়েই আমাদের এখানে সেবার মান ভালো।

অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা তুলনা মূলক ভাবে ভালো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে বেড অনুযায়ী যে পরিমাণ শিশু থাকার কথা তার থেকে বেশি। কারন হিসেবে ডাক্তার দের সাথে কথা বলে যানা যায়, শীত জনিত অনেক সমস্যা নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হচ্ছে।

জেলার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ডা. হিরোঙ্গ কুমার রায় সিভিল সার্জন রংপুর জানান, আমাদের সদরে চিকিৎসা সেবার মান ভালো। পর্যাপ্ত ঔষধ আমাদের আছে। তাছাড়াও শিশুদের চিকিৎসার জন্য আমরা আলাদা ভাবে বেশি নজরদারিতে রাখি। একটু শিশুও কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা থেকে যেন বঞ্চিত না হয়।
অন্যদিকে রংপুর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ঔষধ সল্পতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের তত্বাবধানে না। ওটা ফ্যামিলি প্লানিং এর আন্ডারে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২১-২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক মাগুরা.কম
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )