চার বছর আগে খুলনার খালেদা আক্তারকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তবে সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না মাগুরার মেহেদী হাসান ফয়সালের (২৮)। তাইতো স্ত্রীকে খুশি করতে কখনও নিজের নাক কেটে রক্ত বের করে, কখনও পুলিশের সঙ্গে টিকটক করে তাকে খুশি করার চেষ্টা করছে এই যুবক।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে পুলিশের গাড়ির সঙ্গে দৌড়ে টিকটক করতে গিয়ে গাড়ির নিচে চাপা পড়ার উপক্রম হয় তার। পরে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তাকে উদ্ধার করে কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে নেয়।
মেহেদী হাসান ফয়সাল মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা মোকদ্দম খোলা গ্রামের আতিয়ার শিকদারের ছেলে।
মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের এসআই উজ্জ্বল ঘোষ জানান, বুধবার বিকালে একটি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর পেয়ে সেটি উদ্ধারে ছুটে আসেন তারা। বিকাল তিনটার দিকে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকায় পৌঁছালে ওই যুবক টিকটক করতে করতে তাদের গাড়ির সঙ্গে দৌড়াতে থাকে। এ সময় গাড়িতে চাপা পড়ার উপক্রম হলে গাড়ি থামিয়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে নিজেকে টিকটকার দাবি করেন। এ সময় তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় তাকে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
টিকটকার মেহেদী হাসান ফয়সাল বলেন, ‘আমি ভালোবেসে চার বছর আগে খালেদাকে বিয়ে করি। এক বছর হলো সে বাবার বাড়িতে আছে, আমার কাছে আসতে চাচ্ছে না। আমি যে তাকে ভালোবাসি এটা সে বিশ্বাস করতে চায় না। তাই আমি ভালোবাসার প্রমাণ দিতে নাক কেটে রক্ত বের করে টিকটক করে তাকে দেখিয়েছি। সে আমার টিকটক করাকে পছন্দ করে। এ ছাড়া আমাদের কয়েকজনের মধ্যে টিকটকের একটা প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিযোগিতাই জিততে ও স্ত্রীকে খুশি করতেই আমি এই টিকটক করছি। আমি আমার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি, তাকে ছাড়া থাকতে পারব না।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির হোসেন বলেন, ‘পুলিশের গাড়ির সঙ্গে দৌড়ে টিকটক করার সময় ছেলেটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ার উপক্রম হয়েছিল। হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এ সময় তাকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। ছেলেটির কথাবার্তা অসংলগ্ন। তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে হচ্ছে। ছেলেটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।’